রবিবার, ১৭ জুন, ২০১২

মুক্তির ডাক দিয়ে যাই

 










জাতীয় মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব সম্পন্নের 
অসমাপ্ত বিপ্লবী কর্তব্য সম্পন্নের উদ্দেশ্যে 
‘জাতীয় মুক্তি উদ্যোগ’ গঠিত

১।
গত চার দশকে সাম্রাজ্যবাদের এদেশীয় দালাল শাসকশ্রেণির শোষণ-নিপীড়ন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনে অর্থনৈতিক সংকট চরমে পৌঁছেছে। জনগন চরম নিগৃহীত হচ্ছে এদের দ্বারা, নিষ্পেষিত।

২।
বিশেষত মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের নীলনকশা বাস্তবায়নে এরা (শাসকশ্রেনি) দেশিয় স্বার্থ জলাঞ্জলি দিচ্ছে ক্রমাগত। জাতীয় সম্পদ বিদেশীদের কাছে পাচারের চক্রান্তেও এদের জুরি নেই।
৩।
একের পর এক শিল্প কারখানা বন্ধ হয়ে শ্রমিকরা কাজ হারাচ্ছে। বেতন-ভাতা নিয়ে তৈরি হচ্ছে শ্রমিক অসন্তোষ। নিম্নতম মজুরির নামে হাস্যরসাতœক আয়োজন করছে শাসক শ্রেণি।

৪।
বুর্জোয়াশ্রেণির কর্মকান্ডে জনগন ক্ষুব্ধ; আন্দোলন চলছে, তবে অসংগঠিত; এই অবস্থায় কেবল সঠিক নেতৃত্বই পারে জনতার বিজয় ছিনিয়ে আনতে। কিন্তু সঠিক সংগঠনের অভাবে সেই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন সম্ভব হচ্ছে না।

৫।
এই ঐতিহাসিক ক্রান্তিলগ্নে জনগনের সামনে সঠিক রাজনৈতিক দিশা হাজির করা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্তব্য বলেই মনে করি। তাই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিসম্পন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের শূণ্যতা পূরণের লক্ষেই ‘জাতীয় মুক্তি উদ্যোগ’ গঠিত।

৬।
এই সংগঠন মনে করে, কেবলমাত্র শ্রমিকশ্রেণির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টির ক্ষমতায়নই জনগনের সরকারের ভূমিকা পালন করতে পারে। যেহেতু কমিউনিস্ট পার্টি গঠনের মতো যোগ্যতা আমাদের হয়নি, তাই জাতীয় মুক্তি উদ্যোগ। তবে কমিউনিস্ট পার্টি গঠিত হলে অবশ্যই এই সংগঠনের যোগ্যতাসম্পন্ন সকল কর্মী পার্টিকেই এগিয়ে নেবে।

৭।
জাতীয় মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে জনগনের বিভিন্ন দেশপ্রেমিক অংশের প্রতিনিধিদের ‘জাতীয় মুক্তি উদ্যোগ’ গঠন অত্যন্ত সময়োপযোগি হয়েছে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন